সাবেক সচিব সফিকুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে

5 hours ago 3

রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় সাবেক সচিব ভূঁইয়া মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির জামিন চেয়ে আবেদন দেন তার আইনজীবীরা। এ ছাড়া জামিনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে কিছু লোক রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে কয়েকজনকে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দেন এবং তখন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং এর আয়োজনে সেখানে গোল টেবিল বৈঠক চলছিল। বৈঠকে আটক হওয়া ব্যক্তিরাসহ আরও ৭০/৮০ জন অংশ নেন। পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিরুল ইসলাম ২৯ আগস্ট বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।

সাবেক সচিব সফিকুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার প্রত্যেক পরামর্শ ও সহযোগিতায় ‘মঞ্চ ৭১’ নামের সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ ছাড়া তিনি মামলার এজাহারনামীয় আরেক আসামি লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্য আসামিদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে গোপন বৈঠক ও যোগাযোগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। মামলাটি তদন্তাধীন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে রাষ্ট্র তথা সরকারের বিরুদ্ধে পুনরায় যড়যন্ত্রে লিপ্ত হবেন এবং মামলার তদন্তে বিঘ্ন ঘটাবেন। এমন অবস্থায় মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই না হওয়ায় পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। মামলার তদন্তের স্বার্থে পরে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে পাওয়ার আবেদন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ছিলেন। পরে ২০১৫ সালে তাকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব করা হয়। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আনন্দলোক ইকো রিসোর্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি।

এমআইএন/একিউএফ/এএসএম

Read Entire Article