বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় নতুন বাঁক এসেছে। গত ২১ অক্টোবর রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন নম্বর আসামি হিসেবে কধরা হয়েছে অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী সামিরার মা লতিফা হক লিও ওরফে লুসি (৭১)-কে।
এই মামলায় আদালত তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মাঠে নামছে সালমান শাহ ভক্তরা
বর্তমান স্বামীকে দিয়ে গোপনে আগাম জামিনের চেষ্টা করছেন সামিরা
রমনা থানা পুলিশ ইতোমধ্যেই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে লুসি ও অন্যান্য আসামিদের দেশত্যাগ বন্ধ করার নির্দেশনা জানিয়ে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান গেল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
এর আগে ২৭ অক্টোবর সালমান শাহের স্ত্রী সামীরা হক এবং খলনায়ক আশরাফুল হক ডনের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এ নিয়ে তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো আদালতের মাধ্যমে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শুরু হয়, যা প্রায় তিন দশক ধরে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে চলতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
তবে চলচ্চিত্রের ভক্ত এবং সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনায় এখনও নানা প্রশ্ন রয়ে গেছে। আদালতের এই নতুন সিদ্ধান্ত এবং আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা যেন মামলার প্রক্রিয়াকে আরও সক্রিয় করে তুলেছে।
সালমান শাহ বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একটি অনন্য প্রতিভা ছিলেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি দর্শকদের মনে এক বিশেষ জায়গা তৈরি করেছিলেন। হত্যার অভিযোগে মামলার দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত চললেও, আদালতের এই পদক্ষেপ যেন নতুন এক দিক উন্মোচিত করেছে।
রমনা থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার তদন্ত অব্যাহত থাকবে এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করা হবে। মামলার সমস্ত আসামি, যার মধ্যে লুসিও আছেন, তারা এই বিধিনিষেধ মেনে চলবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এলআইএ/এএসএম

1 hour ago
6









English (US) ·