সেই জামায়াত নেতাকে অব্যাহতি

3 hours ago 2

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হাটহাজারী উপজেলা আমির মো. সিরাজুল ইসলামকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির মো. আলাউদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে জেলা কর্মপরিষদের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলটির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সহকারী সেক্রেটারি ফজলুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফজলুল করিম বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির মো. আলাউদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে জেলা কর্মপরিষদ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা তার আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য শুনেছি। এ ছাড়া এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।

সিরাজুল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাকে তাৎক্ষণিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি, এজন্য শোকজ করিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা গ্রাম নিয়ে বাংলদেশ জামায়াতে ইসলামী হাটহাজারী উপজেলা আমীর মো. সিরাজুল ইসলামের অনাকাঙ্ক্ষিত একটি বক্তব্য বিভিন্ন অনলাইন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে যা জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী মনে করে তার এ বক্তব্য নিজস্ব বক্তব্য, যা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিক্ষুব্ধ হয়েছে এবং সংগঠন এ বক্তব্যকে বিনয় পরিপন্থি মনে করে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এ বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে হাটহাজারী উপজেলা আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী মনে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা গ্রাম কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়, পরস্পর পরিপূরক। এলাকাবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অতীত ঐতিহ্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। সম্প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও জোবরা গ্রামের অধিবাসী যারা আহত হয়েছেন, বাড়ি ঘরে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমরা তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এ ছাড়া এ ঘটনাকে পুঁজি করে কেউ যাতে আর কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে এজন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।

এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর হাটহাজারী উপজেলা আমির মো. সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’

Read Entire Article