সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ নিয়ে ছয় হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশের খসড়া বিষয়ে সর্বসাধারণের কাছ থেকে ছয় হাজারেরও বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া এসব মতামতে যেমন গঠনমূলক পরামর্শ এসেছে তেমনি কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব প্রা্প্ত মতামত ও পরামর্শগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের যৌক্তিক চাহিদা পূরণে কার্যকর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়, যার ওপর ভিত্তি করেই মতামত আহ্বান করা হয়েছিল।
মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠভাবে ও ধাপে ধাপে বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এতে সময় লাগলেও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এ ছাড়া অনলাইনে ও সরাসরি প্রাপ্ত মতামতের ধারাবাহিকতায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ আলোচনায় পাওয়া মতামতগুলোও চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক নির্বিশেষে সকল অংশীজনের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষা, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা, কর্মরত শিক্ষকদের পদ সংরক্ষণ, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাসহ সব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ সচেতন ও সংবেদনশীল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সবাইকে অসমর্থিত বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না করে দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে মানসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।