তাইওয়ানের চিপ উৎপাদনকারী জায়ান্ট টিএসএমসি সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানির আয় ৪০ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ৬০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
কোম্পানিটির এই প্রবৃদ্ধির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির প্রতি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি স্মার্টফোন থেকে শুরু করে মিসাইল পর্যন্ত নানা প্রযুক্তি পণ্যে ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করে। তাদের প্রধান গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে অ্যাপল ও এনভিডিয়া।
কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও সিইও সি.সি. ওয়েই জানিয়েছেন, ২০২৫ সালটি কোম্পানির জন্য রেকর্ড আয়ের বছর হতে চলেছে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চিপের চাহিদা খুবই শক্তিশালী থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
গত কয়েক মাসে কোম্পানির বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত বিশ্বব্যাপী শুল্ক নীতির প্রেক্ষিতে। ভবিষ্যতে আরও উচ্চ শুল্ক আসতে পারে এই আশঙ্কায় অনেক কোম্পানি আগেভাগেই চিপ মজুদ করেছে।
তবে জুন মাসে শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে এক আলোচনায় ওয়েই স্বীকার করেন, যদি চিপের দামে শুল্কের কারণে ঊর্ধ্বগতি ঘটে এবং বাজারে চাহিদা কমে যায়, তাহলে ব্যবসায় প্রভাব পড়তে পারে। তবুও তিনি আশাবাদী মন্তব্য করে বলেন, আমাদের ব্যবসা এখনো খুব ভালো থাকবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টর (চিপ) আমদানির ওপর ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক (ট্যারিফ) আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনে বিনিয়োগ করবে, তারা এই শুল্ক থেকে ছাড় পেতে পারে।
যেসব আন্তর্জাতিক কোম্পানি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করেছে—যেমন তাইওয়ানের টিএসএমসি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং—তারা সম্ভবত এই শুল্কের আওতামুক্ত থাকবে।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম