ভাগ্যের বিড়ম্বনায় স্বপ্ন পূরণের আগেই থেমে গেলো তিন প্রবাসী বাংলাদেশির জীবন। দু’দিনের ব্যবধানে মালদ্বীপে স্ট্রোক করে মারা গেছেন তারা। দেশটির প্রবাসীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের তথ্যানুসারে, গত দুই দিনে আকস্মিকভাবে তিন প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে— সবাই হৃদরোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে।
হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, মৃতদের একজন সজীব আহমেদ। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার তামাট বাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা। মাত্র দুই মাস আগে জীবিকার তাগিদে মালদ্বীপে পাড়ি জমান সজীব। তিনদিন আগে স্ট্রোকে মারা যান তিনি। তার মরদেহ এরই মধ্যে দেশে পাঠানো হয়েছে।
দ্বিতীয়জন আলম, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বাসিন্দা। কর্মস্থলেই হঠাৎ স্ট্রোকে মারা যান তিনি। তার মরদেহও দেশে পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয়জন রাসেল, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জয়ধরখালী গ্রামের বাসিন্দা। প্রবাসী শ্রমিক আশিক জানান, রাসেল প্রায় এক বছর ধরে সেনটারা গ্র্যান্ড রিসোর্টে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সকালে জিম করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় ক্লিনিক এবং রাজধানী মালের এডিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাসেলের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এই তিন তরুণের মৃত্যুতে মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে গভীর শোক নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন।
হাইকমিশনের তথ্যমতে, মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর অধিকাংশ কারণ স্ট্রোক বা হৃদরোগ। ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী এসব শ্রমিক দীর্ঘদিন পরিবার থেকে দূরে থাকা, মানসিক চাপ ও কম আয়ের কারণে এমন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমআরএম/জেআইএম

2 hours ago
5









English (US) ·