স্বর্ণখনি ঘিরে রেখে অপেক্ষা করছে পুলিশ, ভেতরে কয়েকশ শ্রমিক

3 days ago 9

স্বর্ণখনিতে ঢুকে বিপাকে পড়েছেন কয়েকশ শ্রমিক। বাইরে অপেক্ষা করছে পুলিশ। জানা গেছে, অবৈধ এসব শ্রমিকের কাছে অস্ত্র থাকতে পারে, এমন শঙ্কায় পুলিশ ভেতরে ঢুকছে না। আর তাতেই সৃষ্টি হয়েছে অমানবিক পরিবেশ। খনির ভেতরে থাকা শ্রমিকদের খাবার প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। বাধ্য হয়ে এখন ভিনেগার ও টুথপেস্ট খাচ্ছেন তারা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে স্টিলফোনটেইনের খনিতে আটকা পড়েছেন ওই শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের উদ্ধার করছে না পুলিশ। এমনকি তাদের কাছে খাবার ও পানি পর্যন্ত পৌঁছতে দিচ্ছে না নিরাপত্তা বাহিনী। উল্টো পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একজন মন্ত্রী।

আটকা পড়া শ্রমিকরাও খনি থেকে বের হতে চাইছেন না। এক মাস ধরে তারা খনির ভেতর আছেন। শ্রমিকদের ভয়, বের হলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। বিশেষ করে, খনির ভেতর থাকা অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অচলাবস্থা সৃষ্টির পর সরকারের কড়া সমালোচনা করছে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষজন।

জনমত তৈরি হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবীদের অল্পস্বল্প খাবার নিয়ে খনিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে পুরো বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। শনিবার প্রিটোরিয়ার একটি আদালত খনি শ্রমিকদের জন্য রাস্তা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি কাউকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন আদালত। তবে শনিবার বের হওয়া তিন শ্রমিকের মধ্যে একজনের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। অপর দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে খনির ভেতর আটকে থাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে থাকা খাবার ও পানি প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। উপায়ন্তর না দেখে খনির ভেতর থাকা শ্রমিকরা বেঁচে থাকার জন্য ভিনেগার ও টুথপেস্ট খাচ্ছেন। এরই মধ্যে খনির ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্বেচ্ছাসেবীরা। শ্রমিকদের জোরপূর্বক বের করতে অভিযান চালানো হবে কিনা- তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

খনি থেকে বের হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খনিজসম্পদে ভরপুর দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের মজুদ থাকা মোট সোনার প্রায় ৩০ শতাংশ রয়েছে। প্লাটিনাম রয়েছে ৮৮ শতাংশ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক খনি বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশের সরকার। এতে চোরাকারবারি বেড়ে গেছে, ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনছে। 

Read Entire Article