হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ

3 hours ago 6
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  রোববার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আজ দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ছাড়া প্রয়াত হাসান আরিফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। এদিকে হাসান আরিফের মৃত্যুতে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পরিষদের সভায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সভায় রিজওয়ানা হাসান জানান, সোমবার (২৩) সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমানের কবরের পাশে হাসান আরিফকে সমাহিত করা হবে। সভার শুরুতে উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ড. ইউনূসসহ অন্য উপদেষ্টারা হাসান আরিফের স্মৃতিচারণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি সবসময় আমাকে মনে করিয়ে দিতেন, আমরা কিন্তু সমবয়সী। যতরকম সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে কোনো কোন্দল দেখেছেন, তিনি হাজির হয়েছেন তার সমাধানে। অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্ব এবং সদা হাস্যময়। কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন পাট, বস্ত্র ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, এখানে কাজ করতে এসে উনার সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। উনি আমাদের জন্য ছিলেন এক ইতিবাচক প্রেরণা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, উনাকে ছাড়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আইনজীবী হিসেবে হাসান আরিফের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন কর্মনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী মানুষ। সব নথি তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, হাসান আরিফ সবসময় সব কাজকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যে কোনো সমস্যা উনার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা যেত। জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সমাজে বিভেদ অনেক বেশি। এই বিভেদ জোড়া লাগানোর মানুষ আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সর্ব মহলে উনার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় হাসান আরিফের ভূমিকা স্মরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এসে হাসান আরিফকে চিনেছি, উনাকে সবসময় শিক্ষকের মতো পাশে পেয়েছি। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, উনার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একবারও আমাদের বয়সের পার্থক্য বুঝতে পারিনি। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ২০০৮ সালে অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আয়োজনে আন্তরিকভাবে কাজ করতে দেখেছি উনাকে। এবারও উনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
Read Entire Article