ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এর আগে তিনি পদত্যাগ করেন বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি, ‘ব্রেকিং নিউজ– বৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র জাতিসংঘে জমা না দিলে সেনাবাহিনীর উপরে নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের পোস্ট দেখা গেছে। ফ্যাক্টচেকার সংস্থা রিউমর স্ক্যানার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাতিসংঘে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র জমা না দিলে সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ বা অন্যকোনো সংস্থা নেয়নি। এমনকি এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রেও পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি সামাজিক ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
আলোচিত দাবিতে বলা হচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের পদত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র জাতিসংঘে জমা না দিলে সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আসবে। এরূপ কোনো সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ কিংবা অন্যকোনো সংস্থা বা দেশ নিলে সেটি আন্তর্জাতিক এমনকি জাতীয় গণমাধ্যমে অবশ্যই সংবাদ হওয়ার বিষয়। কিন্তু, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রে এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, জাতিসংঘের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও (ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, এক্স) এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রম বিভাগের মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স দপ্তর (ওএমএ) নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ১৪ অক্টোবর পাঠানো ওই চিঠিতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীর সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তের উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং, সাবেক শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র জাতিসংঘে জমা না দিলে সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।