২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে এবারই প্রথম সবচেয়ে বড় পরিসরে আয়োজন করতে যাচ্ছে ফিফা। ৩২ দল থেকে আরও ১৬টি দল বাড়িয়ে করা হলো মোট ৪৮টি। যেখানে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে তিন স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা। বাকি ৪৫ দলের জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাছাই পর্ব।
বাছাইপর্ব শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর, এশিয়ার ছোট দলগুলোর মধ্যে ম্যাচ দিয়ে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন মিয়ানমারের লুইন মো অং। যে ম্যাচে ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে ম্যাকাওয়ের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল মিয়ানমার।
বাছাই পর্ব শুরু হওয়ার পর থেতে এখনও পর্যন্ত ৪৫ দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪টি দেশ জায়গা করে নিয়েছে।
ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা ১৪টি দল হলো
এশিয়া থেকে: জাপান, ইরান, উজবেকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, অস্ট্রেলিয়া
ওশেনিয়া থেকে: নিউজিল্যান্ড
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে
আফ্রিকা থেকে: মরক্কো
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাকিদের কার কী অবস্থা?
আফ্রিকা (সিএএফ)
আফ্রিকা থেকে ৯ দল সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে, আরেকটি দল প্লে-অফে খেলবে। মরক্কো (১৮ পয়েন্ট) প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে। মিশর (১৯ পয়েন্ট) মঙ্গলবার বুরকিনা ফাসোর বিপক্ষে জিততে পারলে তাদের টিকিটও পাকা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা (১৬ পয়েন্ট) নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিতলে এবং বেনিন (১১) যদি লেসোথোর কাছে পয়েন্ট হারায় তবে তারাও সরাসরি জায়গা পেতে পারে। আলজেরিয়া (১৮ পয়েন্ট) ও তিউনিসিয়া (১৯ পয়েন্ট)ও যোগ্যতা অর্জনের খুব কাছাকাছি। আইভরি কোস্ট (১৯) বনাম গ্যাবন (১৮) ম্যাচ মঙ্গলবার গ্রুপের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। ঘানা (১৬), মাদাগাস্কার (১৩), মালি (১২) এখনো গ্রুপ আই-এ লড়াই করছে।
দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল)
লাতিন আমেরিকা থেকে ৬ দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে, ১ দল প্লে-অফে। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিতকরা দল হলো: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে।
প্লে-অফে লড়বে ভেনেজুয়েলা (৭ম, ২৩ পয়েন্ট) ও বলিভিয়া (৮ম, ২২ পয়েন্ট)। ভেনেজুয়েলা কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই প্লে-অফ নিশ্চিত করবে।
ইউরোপ (উয়েফা)
ইউরোপ থেকে এখনো কোনো দল কোয়ালিফাই করেনি। নভেম্বর ২০২৫-এ গ্রুপ পর্ব শেষ হবে। ৫৪টি দল অংশ নিচ্ছে (রাশিয়া নিষিদ্ধ)। এখনো প্রাথমিক পর্যায় চলছে, তাই কোনো দেশ এখনো জায়গা নিশ্চিত করতে পারেনি। নভেম্বরেই চূড়ান্ত হবে। ১২ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সরাসরি খেলবে। রানার্স-আপদের নিয়ে হবে প্লে-অফ, যেখান থেকে আরও চারটি দল যাবে বিশ্বকাপে।
এশিয়া (এএফসি)
এশিয়ান অঞ্চল থেকে ৮ দল সরাসরি যাবে, ১ দল প্লে-অফে। এরই মধ্যে জাপান, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, জর্ডান ও অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে। অক্টোবরের চতুর্থ রাউন্ডে আরও দুটি দল সরাসরি খেলবে। রানার্স-আপরা যাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।
ওশেনিয়া (ওএফসি)
ওশেনিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। নিউ ক্যালেডোনিয়া প্লে-অফে যাবে।
উত্তর ও মধ্য আমেরিকা (কনকাকাফ)
আয়োজক ৩ দেশ ছাড়া বাকি তিনটি জায়গা এখনও দখলের অপেক্ষায়। বর্তমানে রাউন্ড-থ্রি চলছে। তৃতীয় রাউন্ডে ১২ দল এখনো লড়াই করছে- পানামা, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, সুরিনাম, জ্যামাইকা, কুরাসাও, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, বারমুডা, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস, হাইতি ও নিকারাগুয়া। আরও ২ দল প্লে-অফে যাবে।
চূড়ান্ত প্লে-অফ (২ দল)
চূড়ান্ত প্লে-অফের জন্য লড়াই করবে ৬টি দল (১টি আফ্রিকা, ১টি এশিয়া, ২টি কনকাকাফ, ১টি ওশেনিয়া, ১টি দক্ষিণ আমেরিকা)। এর মধ্যে ২টি দল র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকলে সরাসরি ফাইনালে যাবে, বাকি ৪টি দল সেমিফাইনাল খেলবে।
মার্চ ২০২৬-এ প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে, যা স্বাগতিক দেশের ভেন্যুতে টেস্ট ইভেন্ট হিসেবে আয়োজন করা হবে। ২০২৬ বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ ৪৮ দলের তালিকা জানা যাবে ২০২৫ সালের নভেম্বরের মধ্যে।
আইএইচএস/