শুধু পরনের পোশাকটাই আছে, বাকি সব পুড়ে ছাই: মমতাজ
রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে কয়েকশ বসতঘর। আগুনে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন হাজারো মানুষ। তাদের একজন গৃহকর্মী মমতাজ (৩৫)। বনানীর একটি বাসায় কাজ করেন। দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে থাকেন কড়াইলে। আগুনে মুহূর্তেই সব হারিয়ে এখন দিশেহারা। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মমতাজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘অসহায় হয়েই বস্তি আসছি, ঘর পুড়ে আবার অসহায় হইলাম। কষ্ট নিয়াই আইছিলাম, আবার কষ্টের মধ্যে পড়লাম।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কাজের সময় ফোনে আগুন লাগার খবর পান। দ্রুত বাড়ির অনুমতি নিয়ে দৌড়ে বের হলেও যানজটে আটকে পড়েন। ‘আইসা দেখি আমার সব গেছেগা। একটা সুতাও বের করতে পারিনি,’ বলেন তিনি। আরও পড়ুন৫ ঘণ্টা পর নিভলো কড়াইল বস্তির আগুন ‘রাতে কী খাবো, কোথায় যাবো জানি না’ মমতাজের ঘরে ফ্রিজ, টিভি, র্যাক, সেলাইয়ের মেশিন, খাটসহ প্রায় সব আসবাবপত্র ছিল। বাজারের জন্য জমিয়ে রাখা পাঁচ হাজার টাকাও আগুনে পুড়ে গেছে। ‘আমার পরনে যে জামা আছে, এটাই কেবল রইল,’ বললেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বস্তির বউবাজারের কুমিল্লা পট্টি, বরিশাল পট্টি ও ‘ক’ ব্লক এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পাঁচ
রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে কয়েকশ বসতঘর। আগুনে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন হাজারো মানুষ। তাদের একজন গৃহকর্মী মমতাজ (৩৫)। বনানীর একটি বাসায় কাজ করেন। দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে থাকেন কড়াইলে। আগুনে মুহূর্তেই সব হারিয়ে এখন দিশেহারা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মমতাজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘অসহায় হয়েই বস্তি আসছি, ঘর পুড়ে আবার অসহায় হইলাম। কষ্ট নিয়াই আইছিলাম, আবার কষ্টের মধ্যে পড়লাম।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কাজের সময় ফোনে আগুন লাগার খবর পান। দ্রুত বাড়ির অনুমতি নিয়ে দৌড়ে বের হলেও যানজটে আটকে পড়েন। ‘আইসা দেখি আমার সব গেছেগা। একটা সুতাও বের করতে পারিনি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
৫ ঘণ্টা পর নিভলো কড়াইল বস্তির আগুন
‘রাতে কী খাবো, কোথায় যাবো জানি না’
মমতাজের ঘরে ফ্রিজ, টিভি, র্যাক, সেলাইয়ের মেশিন, খাটসহ প্রায় সব আসবাবপত্র ছিল। বাজারের জন্য জমিয়ে রাখা পাঁচ হাজার টাকাও আগুনে পুড়ে গেছে। ‘আমার পরনে যে জামা আছে, এটাই কেবল রইল,’ বললেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বস্তির বউবাজারের কুমিল্লা পট্টি, বরিশাল পট্টি ও ‘ক’ ব্লক এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, যাদের ঘর পুড়েছে তারা এখনও পোড়া ঘরের সামনে অসহায়ের মতো বসে আছেন। অনেকেই পোড়াস্তুপ থেকে মূল্যবান কিছু পাওয়া যায় কি না খুঁজে দেখছেন। যারা কিছু উদ্ধার করতে পারেননি তারা নিজেদের ঘরের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছেন। অনেকেই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন খামারবাড়ি (ঈদগাহ) মাঠে, এরশাদ স্কুল মাঠ ও মহাখালী টিঅ্যান্ডটি মাঠে।
আরও পড়ুন
‘আগুন দেখে শুধু বাচ্চাগুলোরে নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি’
‘স্বপ্ন আগুনে পুড়ে ছাই’, কান্না আর আহাজারি বস্তিবাসীর
বারবার অগ্নিকাণ্ডের পরও কড়াইল বস্তিতে কেন থাকেন, এমন প্রশ্নে মমতাজ বলেন, ‘এখানে কম ভাড়া। কাছেই বাজার, কম খরচে খাওয়া যায়। ভালো জায়গায় গেলে পুরা আয় রোজগার ঘরভাড়ায় চলে যাবে। তাহলে চলুম কীভাবে? গরীব মানুষের আর উপায় কী?’
পিঠা বিক্রেতা শামীমা বেগম বলেন, আগেও আগুন লাগছে, তবে এত ভয়াবহ ছিল না। তিল তিল করে অনেক কিছু জোগাইছিলাম। সব পুড়ে শেষ হইছে।
কড়াইল বস্তিতে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ও ২৪ মার্চ বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় বহু ঘর। এবারও পুড়েছে হাজারখানেকের বেশি ঘর বলে জানান স্থানীয়রা।
এসএম/এমআরএম
What's Your Reaction?