স্মার্টফোন এখন সবার হাতেই। ফোনে কথা বলা, কাজ করা, ছবি তোলা থেকে শুরু করে গান শোনা- সবই নির্ভর করছে ব্যাটারির ওপর। আর সেই ব্যাটারি সচল রাখতে চার্জারের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে অনেক সময় আমরা ফোনের সঙ্গে পাওয়া চার্জারটি ব্যবহার না করে অন্য চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করি। অনেক সময় কেউ বাইরে গেলে চার্জার নিতে ভুলে যান, তখন অন্যের চার্জার খুঁজে নেন তারা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এতে সুবিধার চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে না তো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি কোম্পানি তাদের স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা ও চার্জিং সিস্টেম অনুযায়ী আলাদা চার্জার বানায়। আর এখন বেশিভাগ ফোনেই টাইপ-সি (Type-C) চার্জার ব্যবহার হচ্ছে এবং অনেক চার্জারই ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। তবে এর মানে এই নয় যে, যে কোনো চার্জার দিয়েই ফোন নিরাপদে চার্জ করা যাবে।
ধরুন আপনার ফোন ২০ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট করে। কিন্তু আপনি যদি ৬৫ ওয়াট বা ১২০ ওয়াটের চার্জার ব্যবহার করেন, ফোন সেটিকে ২০ ওয়াটেই সীমাবদ্ধ রাখবে। কিন্তু বারবার অসামঞ্জস্যপূর্ণ চার্জার ব্যবহারের ফলে ব্যাটারির আয়ু দ্রুত কমে যায়। আবার অন্য চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করলে দেখা যায়, ফোন ধীরে ধীরে চার্জ হচ্ছে। এর কারণ হলো, চার্জারটির পাওয়ার আউটপুট আপনার ফোনের সঙ্গে মেলে না।
শুধু তাই নয়, অনেকেই আসল চার্জার নষ্ট হয়ে গেলে সস্তা ও অচেনা ব্র্যান্ডের চার্জার কিনে নেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো আরও বেশি বিপজ্জনক। এগুলো শুধু ব্যাটারিই নয়, পুরো ফোনকেই নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকিও তৈরি হয়।
তাই খুব প্রয়োজন না হলে অন্য চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করা একেবারেই উচিত নয়। আর যদি চার্জার কিনতেই হয়, অবশ্যই কোম্পানির আসল চার্জার ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা