ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা হলে ৫ বছরের মধ্যে দেশ বস্তিমুক্ত হবে

4 hours ago 3

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়া বাজার ও মহাখালী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এই কথা বলেন তিনি।

তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং দুর্গতদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত, বনানী থানা আমির মিজানুর রহমান খান, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ রাফি প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না থাকায় ধনীদের অর্থবিত্ত অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে এবং দরিদ্ররা হচ্ছেন আরও দরিদ্র। ফলে কেউ সাত তলায় বসবাস করছেন, আবার কেউ গাছতলায় বা বস্তিতে। মূলত অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষে মানুষে এমন বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। অথচ দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে মানুষে মানুষে এ বৈষম্য থাকবে না বরং দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে ৫ বছরের মধ্যে দেশ বস্তিমুক্ত হবে ইনশা আল্লাহ। জামায়াতে ইসলামী দেশ শাসনের সুযোগ পেলে আমরা আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, মানসম্পন্ন বাসস্থান সুব্যবস্থা করবো। গড়ে তুলবো এখন সুখী-সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ।

তিনি সে স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জনগণ আগামী দিনে জামায়াতকে সম্ভাবনাময় শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে আমরা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত কবরো। যেখানে রাষ্ট্রই সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার বিশেষ করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ জনগণের সব সমস্যার সমাধান করবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে কোনো দুর্নীতি, অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই ও ধর্ষণসহ কোনো অপরাধের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মূলত অতীতের শাসকরা দুর্নীতিকে লালন করেছে। ফলে দেশে সুশাসন আসেনি। আসলে ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি লালন করতে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশ ও জাতির মুক্তি মিলবে। জামায়াতের ২ জন মন্ত্রী ৩ মন্ত্রণালয় স্বচ্ছভাবে চালিয়ে তা প্রমাণ করে গেছেন।

তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় নতুন প্রত্যয় গ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

মহানগরী আমির বলেন, জামায়াত একটি কল্যাণকামী, গণমুখী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে জামায়াত জনগণের পাশে থাকার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় আজ আমরা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সমবেদনা জানানোর জন্য এগিয়ে এসেছি। জনগণের সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা আমাদের সাধ্যমতো দুর্গত মানুষের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্দশা লাঘবে সরকার, সমাজের সক্ষম ব্যক্তি ও বিত্তবানদের মুক্তহস্তে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এএএম/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article