উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপিবিদ্বেষী : রিজভী 

3 hours ago 8

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপিবিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল করির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর পল্লবীতে থানা বিএনপির উদ্যোগে ইফতারসামগ্রী বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিক সম্মানিত মানুষ আজকের সরকারপ্রধান হয়েছেন। তার কাছ থেকে দেশের মানুষ সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করে। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরেও কিছু বিএনপিবিদ্বেষী উপদেষ্টা রয়েছেন। বিএনপির কারো নাম, বিএনপি যদি কারো নামে সুপারিশ করে, তাহলে উনারা খুব বিব্রত এবং ঈর্ষান্বিত হন। ঈর্ষান্বিত হয়ে সেটাকে তারা বাইপাস করার চেষ্টা করেন। 

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির এমপিসহ অনেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। এই গণতন্ত্রের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়নের পতাকা বহন করতে গিয়ে যিনি শত নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেছেন, তিনি বেগম খালেদা জিয়া। এটা তারা অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন। 

তিনি আরও বলেন, দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত থাকলে মব সংস্কৃতি তৈরি হতো না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকভাবে কাজ করছে না। এর ফলে ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। বিষয়টির দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত। সামাজিক অনাচার ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনেকের রক্তের বিনিময়ে বর্তমান সরকার এসেছে, তাদের মধ্যে স্বৈরাচারের কোনো বৈশিষ্ট্য যাতে না থাকে। নির্বাচিত সংসদ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু এই সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় বিলম্ব করছে।

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংক খালি করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। অবশেষে তাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। তিনি মনে করেছিলেন যে, তিনি যতই অন্যায়-অত্যাচার করুন না কেন, তার কিছুই হবে না। নিজের মতো করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাজিয়েছিলেন। তার পাশে আছে ভারত, সেই ভারত তাকে প্রটেকশন দেবে, সেই চিন্তা নিয়ে তিনি নিজেকে মনে করেছিলেন অমর। আল্লাহ যে একজন আছেন, সেটা তিনি ভাবেননি। ভাবেননি বলেই তিনি নিজের দেশের মানুষের ওপর অন্যায়-অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছেন। মানুষকে দমন করতে গিয়ে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করেছেন নির্বিচারে।

রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে মানুষ ঘরের দরজা খুলে ঘুমাতে পারত। চাঁদাবাজি-রাহাজানি-ছিনতাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এসব অনেক কারণেই জিয়াউর রহমান আজও সকলের কাছে জনপ্রিয়। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, খাদ্যশস্য উৎপাদন করাসহ অনেক কাজ করেছেন। মানুষের জন্য ভালো কাজ করতে বেশি সময় লাগে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী মব জাস্টিসের নামে আইন অন্যায়ভাবে নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে দেশে একটা অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি করছে। আজকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাড়া-মহল্লায় রাতের অন্ধকারে অনৈতিক কাজ করে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে। এটা কখনোই আমরা কামনা করি না।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী প্রমুখ।

Read Entire Article