এবার যুদ্ধে যেতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানয়েছে, চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার ( ০৬ মার্চ) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান পিট হেগসেথ জানান, আমরা প্রস্তুত। তিনি মার্কিন সামরিক প্রস্তুতির ওপর জোর দেন। যারা শান্তির আকাঙ্ক্ষা করে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
চীনের দ্রুত প্রতিরক্ষা অগ্রগতিকে হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্ভাব্য সংঘাতে জড়িত হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করা দরকার। পাশাপাশি তিনি ওয়াশিংটনের বিশ্বব্যাপী অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বেইজিংয়ের আকাঙ্ক্ষার কথাও উল্লেখ করেন।
পেন্টাগন প্রধান বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যয়, সক্ষমতা, অস্ত্র এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান নেয়ার প্রয়োজন। আমরা এসব বিষয়ের ওপর খুব বেশি মনোযোগী।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘যে কোনো ধরনের যুদ্ধ’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির পরিপ্রেক্ষিতে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন এবং চীনও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্যের ওপর ১০-১৫% শুল্ক বাড়িয়েছে।
চীনের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা যে কোনো ধরনের যুদ্ধ, যেমন শুল্ক যুদ্ধ বা বাণিজ্য যুদ্ধ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সময় আরও তীব্র হয়েছে। সেখানে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং দেশটির প্রতিরক্ষা খাতে ৭.২% ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।