ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার, বেড়েছে সূচক-লেনদেন

5 days ago 9

বিক্রির চাপে এক কার্যদিবস দরপতনের পর দেশের শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়ছে সবকটি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। তবে বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ফলে আবারও পতনের শঙ্কা দেখা দেয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

অবশ্য প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষে ব্যাংকের শেয়ারের ক্রেতা বাড়ে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ক্রেতার আধিক্য দেখা দেওয়ায় দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির। আর ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৮৫টির দাম কমেছে এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৬৯টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৯টির দাম কমেছে এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৭টির এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৪টির দাম কমেছে এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। ৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, আইটি কনসালটেন্ট, রবি, ব্র্যাক ব্যাংক, অগ্নি সিস্টেম, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন এবং বিচ হ্যাচারি।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭১টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

এমএএস/এমকেআর/এমএস

Read Entire Article