ছোট সাজ্জাদের জামিনে ‘না’ বলার সাহস হারালেন বাদী

5 days ago 5
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে চলমান হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর একটি মোড় এসেছে। বাদী প্রথমে বলেছিলেন, ‘ছোট সাজ্জাদের জামিনে আমার কোনো আপত্তি নেই।’ তবে পরে ‘ভীতি ও চাপের’ কারণে করা সেই আবেদন বাতিলের জন্য আদালতে ফের আবেদন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকী ওই আবেদন নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। আদালত সূত্র জানিয়েছে, বাদীর প্রকৃত ইচ্ছা ন্যায়বিচার পাওয়া। জানা যায়, গত বছরের ২১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন অদূরপাড়া এলাকায় ওমর ফারুকের চায়ের দোকানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আফতাব উদ্দিন তাহসিনকে (২৩)। নিহত তাহসিন ওই এলাকার একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। পরদিন, ২২ অক্টোবর, তাহসিনের বাবা মো. মুছা বাদী হয়ে হত্যার মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেন (৩০) ও তার সহযোগীরা ঘটনার সময় শটগানসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। মামলায় মো. হাসান (৩৬), মোহাম্মদ (২৮), মো. খোরশেদ (৪০) ও মো. হেলালসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদী মো. মুছা দাবি করেছেন, আসামিরা তাকে ভীতি দেখিয়ে ১৭ আগস্ট আদালতে বিশেষ দরখাস্তে স্বাক্ষর করিয়েছিল। সেই দরখাস্তে বলা হয়েছিল, আসামিরা যদি জামিনে যায়, তিনি আপত্তি করবেন না। পরে তিনি জানিয়েছেন, ভয় ও চাপের কারণে স্বাক্ষর করেছিলেন। বাদী মো. মুছা বলেন, আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার পাওয়া। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান কালবেলাকে বলেন, ‘ছোট সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা মামলায় জোর প্রয়োগ করেছে। তাই বাদী তার দরখাস্ত বাতিল করতে আদালতে আবেদন করেছেন। আদালত তা নথিভুক্ত করেছেন।’ জানা যায়, সাজ্জাদ হোসেন পেশাদার খুনি ও চাঁদাবাজ। বিদেশে পলাতক জামায়াত-শিবিরের সহযোগী হিসেবে অপরাধজগতে প্রবেশ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাজ্জাদ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৫-২০ জনের বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান। তার কর্মকাণ্ডে স্থানীয়রা ত্রস্ত। আদালত সূত্র জানায়, ২১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় আফতাব উদ্দিন তাহসিনকে সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা গুলি করে হত্যা করেন। তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। নিহতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন চান্দগাও থানায় মামলা করেন তাহসিনের বাবা ম.  মুছা। এই মামলার আসামিরা হলো সাজ্জাদ হোসেন, মো. হাসান, মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ, মো. হেলাল ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন।
Read Entire Article