ফটোশপের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানে আহত দেখিয়ে জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে নয়ন সিকদার নামে গাজীপুরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ।
বুধবার (১২ মার্চ) দৈনিক প্রথম আলো প্রত্রিকার একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে জানানো হয়েছে, নয়ন সিকদার নামের এক ব্যক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত দাবি করে সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশনে গিয়েছিলেন। তিনি নিজে হাসপাতালে ভর্তি থাকার যে ছবি জমা দেন, সেটি সম্পাদিত (ফটোশপ করা), যা সহজেই ধরা যায়। প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ার পর নয়ন বলেন, তিনি গাজীপুরে একটি দোকানে কাজ করেন। ভুয়া কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদন বিশ্বাসযোগ্য করতে ছবিটি দিয়েছিলেন। লিখিত বক্তব্য রেখে পরে নয়নকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া প্রতিবেদনটিতে আরও কয়েকজনের প্রতারণার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে ফারহানা ইসলাম ও মহিউদ্দিন নামে দুইজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত দাবি করে গত রোববার সহায়তার টাকা নিতে গিয়েছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে। কিন্তু সেখানে তাদের প্রতারণার চেষ্টাটি ধরা পড়ে যায়। ফারহানা ও মহিউদ্দিন চিকিৎসার নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু যাচাই করে দেখা যায়, তারা দুজনে যে এক্স-রে রিপোর্ট দিয়েছেন, তা হুবহু এক।পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফারহানা ও মহিউদ্দিন স্বীকার করেন, তারা আন্দোলনে আহতই হননি। চিকিৎসাসংক্রান্ত সব কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছেন ফারহানা ইসলামের স্বামী নাজিরুল বাশার। নাজিরুল কেরানীগঞ্জের নিউ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের একজন বলে উল্লেখ করা প্রতিবেদনটিতে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের এভাবে অনেকেই সহায়তার জন্য যাচ্ছেন, যাদের কেউ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত, কেউ গাছ থেকে ফেলা ডাবের আঘাতে আহত, কেউ পড়ে গিয়ে আহত। কিন্তু দাবি করছেন, তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন।