মাদরাসার সহকারী শিক্ষককে মহিলা ভাইস প্রিন্সিপালের ‘মারধর’

3 weeks ago 8

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই মাদরাসার মহিলা ভাইস প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাইস প্রিন্সিপালকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের মিরদী ফাজিল মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে তিনি মাদরাসার অফিসকক্ষে প্রবেশ করেন। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল আমিরুন্নেসা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাকে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখান। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটির জেরে তিনি একটি বেঞ্চের কাঠের টুকরা দিয়ে নুরুল ইসলামকে আঘাত করতে থাকেন।

ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তারা ভাইস প্রিন্সিপালকে মাদরাসা ভবনের একটি কক্ষে আটকে রাখে। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর পাকুন্দিয়া থানার আহুতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল তাকে উদ্ধার করে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাইস প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে এবং তাকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করা হয়।

শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, মাত্র কয়েক মিনিট দেরিতে আসায় ভাইস প্রিন্সিপাল তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এর আগেও ওই শিক্ষিকার সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষকদের বাগবিতণ্ডা হয়েছে।

নুরুল ইসলামের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে এর আগে তার বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। সেসময় তিনি পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল আমিরুন্নেসা বলেন, নুরুল ইসলাম তার প্রতি চড়াও হলে তিনি সেসময় তাকে আঘাত করেন। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে তিনি পাশের একটি কক্ষে আত্মরক্ষায় অবস্থান নেন।

আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনার পর ওই শিক্ষিকাকে নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম চলমান।

এসকে রাসেল/এসআর/এমএস

Read Entire Article