মার্কিন সমঝোতায় রাজি, ইউক্রেন পাচ্ছে নতুন সামরিক সহায়তা

6 hours ago 5

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মস্কোর সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি হওয়ায় ওয়াশিংটন এই সিদ্ধান্ত নেয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সৌদি আরবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার পর এই ঘোষণা এসেছে। খবর রয়টার্স। 

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এখন রাশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি এখন মস্কোর হাতে। আমরা রাশিয়ার দিক থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া আশা করছি। এরপরই আসল সমঝোতার আলোচনা শুরু হবে।

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উপস্থিত থাকলেও সরাসরি আলোচনায় অংশ নেননি। তবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই চুক্তি শুধু আকাশ ও নদীপথের জন্য নয়, বরং সমগ্র যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রযোজ্য।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর ২০২২ সালে পূর্ণ সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল ক্রেমলিনের দখলে রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনার বিষয়ে প্রস্তুত থাকলেও যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেননি। তিনি রাশিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি একটি চুক্তির দাবি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে, রাশিয়ার দখলে থাকা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের সম্পূর্ণভাবে সরে যাওয়ার শর্তও দিয়েছেন।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

মার্কিন প্রশাসন রাশিয়া ও ইউক্রেন- উভয় পক্ষের সঙ্গে দ্রুত সমঝোতায় আসতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে, এই যুদ্ধের কারণে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে এবং দুই পক্ষের সাধারণ জনগণই মূলত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এখন সবাই তাকিয়ে আছে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার দিকে। যদি মস্কো ইতিবাচক সাড়া দেয়, তবে এই যুদ্ধের গতিপথে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।

Read Entire Article