দেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় দৈনিক কালবেলা পেরিয়ে এসেছে সাফল্যের তিনটি বছর। সততা, ন্যায় আর নির্ভীক সাংবাদিকতার মশাল হাতে নিয়ে চতুর্থ বছরে পদার্পণ করেছে পত্রিকাটি। সবসময় বিরুদ্ধ সময়কে আপন করে নিয়ে কালবেলা এখন কোটি মানুষের প্রিয় দৈনিক। পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন দেশসেরা। দুর্নীতি আর অনিয়মের বিরুদ্ধে উচ্চকিত কণ্ঠের কারণে খুব অল্প সময়েই পত্রিকাটি পরিণত হয়েছে সাধারণের আস্থায়।
‘সত্য-সুন্দর-সাহস’—এই স্লোগান ধারণ করে তিন পেরিয়ে চারে পা রাখার এ মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্রধান কার্যালয়ে উদযাপিত হয় পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। উৎসবমুখর পরিবেশে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো ভবন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুভেচ্ছার ফুলে ভরে ওঠে অফিস প্রাঙ্গণ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার প্রকাশক মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু, সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, সাংবাদিক, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতাসহ গণমাধ্যমের অনেক বরেণ্য ব্যক্তি।
প্রকাশক মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু বলেন, দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে দৃঢ় অবস্থান কালবেলা গ্রহণ করেছে, তা আজকের গণমাধ্যম জগতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অনলাইন ভার্সনের দ্রুততা, তথ্যের নির্ভুলতা এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সাহসী উপস্থাপন কালবেলাকে দেশসেরা করেছে। একই সঙ্গে প্রিন্ট সংস্করণটি সাধারণ পাঠকের মধ্যে তৈরি করেছে এক অনন্য বিশ্বাস।
সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, তিন বছরের এই পথচলা ছিল চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের মিশেল। আর এখন চার বছরে পা রেখে কালবেলা নতুন প্রত্যয়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে চায় আরও দূর-সত্যের অন্বেষায়, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে এবং সমাজ পরিবর্তনের অবিচল অঙ্গীকারে।
কালবেলার তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে পত্রিকার পরিচালক হাসানুজ্জামান পিন্টু, উপসম্পাদক দীপঙ্কর লাহিড়ী, যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দীন আরিফ, পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. আহসানুজ্জামান রিমন, হেড অব নিউজ কবির হোসেন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক শাকিল ফারুক, প্রধান প্রতিবেদক জাকির হোসেন লিটন, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবুল কাশেম, সার্কুলেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রিয়াজ শাহী, ক্রীড়া সম্পাদক রানা হাসান, সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন, সম্পাদনা সহকারী বিভাগের প্রধান মো. মাজেদ হোসেন, হেড অব গ্রাফিক্স মামুন হোসেনসহ কালবেলার সব বিভাগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সময়ের সাহসী সাক্ষী হয়ে কালবেলা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, চিন্তাশীল বিশ্লেষণ এবং সমাজমুখী সাংবাদিকতা চর্চা করে চলেছে, যা আমাদের গণমাধ্যম অঙ্গনের জন্য গর্বের বিষয়। বর্তমান তথ্যপ্রবাহের যুগে সংবাদপত্র শুধু খবর পরিবেশনের মাধ্যম নয়, এটি জাতির বিবেক, গণতন্ত্রের রক্ষক এবং উন্নয়নের অগ্রদূত। তরুণ সমাজের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো, জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে সৎ, সাহসী ও সুস্থ সাংবাদিকতা চর্চা করার ক্ষেত্রে দৈনিক কালবেলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটি ভবিষ্যতেও নিরপেক্ষতা, নৈতিকতা এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পথচলা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।