৮ গরুতে শুরু, এখন সফল খামারি জামাই-শ্বশুর

5 months ago 98

মাত্র আটটি গরু নিয়ে খামার করে ব্যবসা শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল কুদ্দুস ও তার মেয়েজামাই আশরাফুল ইসলাম শাকিল। চার বছরের ব্যবধানে তারা এখন সফল খামারি। তাদের খামারে গরু-মহিষের সংখ্যা এখন ৮০টি। খামারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রতিটি গরুই চোখে পড়ার মতো। দেড় থেকে আট লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে তাদের খামারে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য তিনি। গরুর প্রতি তার আলাদা টান রয়েছে। ভালো লাগা থেকেই নিজ বাড়িতে গরু লালন-পালন করতেন তিনি। জেলা শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম শাকিল তার মেয়েজামাই। বিয়ের পর গরুর প্রতি শ্বশুরের ভালাবাসা দেখে শাকিল নিজেও গরুর প্রতি আকৃষ্ট হন। নিজেও ৪-৫টি এনে গরু লালন-পালন শুরু করেন।

৮ গরুতে শুরু, এখন সফল খামারি জামাই-শ্বশুর

চার বছর আগে জামাই-শ্বশুর মিলে আটটি গরু নিয়ে শুরু করেন খামার। সেই খামারে তারা সফলতা খুঁজে পান। এরপর উদ্যোগ নেন মধ্যম আকারের একটি খামার করার। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারের জন্য দেশের নানান প্রান্ত থেকে গরু-মহিষ সংগ্রহ শুরু করেন তারা। এখন তারা সফল খামারি।

জামাই-শ্বশুরের গরুর খামারে সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই এখন উন্নত জাতের গরু পালন শুরু করেছেন। তারা সদর উপজেলার বিলকেন্দুয়াই গ্রামে জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘নবাব এগ্রো ফার্ম’ নামে গরুর খামার। তাদের খামারে এবার গরু-মহিষ মিলিয়ে ৮০টি কোরবানির পশু রয়েছে। সবগুলো মধ্যম ও বড় আকৃতির।

৮ গরুতে শুরু, এখন সফল খামারি জামাই-শ্বশুর

জামাই-শ্বশুরের খামারে দীর্ঘদিন কাজ করা কালা মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘গরু-মহিষগুলো দেখাশোনা করি। পশুগুলোকে দিনে দুইবেলা গোসল করানো এবং নিয়মিত খাবার খাওয়ানো হয়। গরু মোটাতাজা করতে খামারের পাশেই চাষ করা হয়েছে নেপিয়ার ঘাস। ঘাসের পাশাপাশি খড়, ভুসি, দানাদার খাবার ও ভুট্টার তৈরি সাইলেজ দেওয়া হয়।’

আরেক শ্রমিক রাজু মিয়া বলেন, ‘আমরা কোনো ভেজাল খাবার দেই না। সব পশু সুস্থ-সবল। পছন্দমতো কোরবানির পশু কিনতে অনেকেই খামারে আসছেন। দরদামে মিলে গেলে অনেক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

৮ গরুতে শুরু, এখন সফল খামারি জামাই-শ্বশুর

খামারের অংশীদার আশরাফুল ইসলাম শাকিল জাগো নিউজকে বলেন, মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখেই গরু মোটাতাজা করা হয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন-পালন করা হয়। এবছর আমাদের খামারে ৮০টি কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষ রয়েছে।

খামারের বিষয়ে শাকিলের শ্বশুর আব্দুল কুদ্দুস জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের খামারে দেড় থেকে আট লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। পাশাপাশি মহিষও রয়েছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো পশু কিনতে পারবেন।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article